Bangla Romantic Golpo – পুলিশের সাথে প্রেম-৩: এখানে কেউ নেই যে তোমাকে বাচাঁবে হা হা হা, ! আর তখনি ইমা আমাদের খেতে ডাকে, ইমার ডাক পরতেই আমি ফাজিল টাকে ধাক্কা মেরে সোফায় শুইয়ে দিয়ে পিচ্চু কে নিয়ে হলে চলে যাই, আর তখনি বড়টা খেতে আসে, বড়টা আসতেই ছোটো টা আমাকে বলে
মাম থুমি পাপা কে কাইয়েঁ দাউ, ! তোমার পাপার হাত আছে সে নিজের হাতে খেতে পারবে সোনা, ! পাব্বে না পাপাল হাতে বাতা, ! পিচ্চি টার কথা শুনে ভাবছিলাম ও ভুল বকে তখন ইমা এসে বলে, ! কালরাতে পেয়াজ কাটতে গিয়ে নিজের আঙুলি কেটে ফেলেছে ভাইয়া, ! কি যে বলো না তুই?
বাড়িতে এতো কাজের লোক সবাই কি মঙ্গল গ্রহে ছিল? ! নারে তারা তো ছিলোই ভাইয়াই মাতবারি করতে গিয়ে ঝামেলা বাজাইছে, ! ইমার কথা শুনে বড়টার দিকে তাকাতেই দেখি, সে আমার দিকে চোরের মতো তাকিয়ে আছে, তাই আর কথা না বাড়িয়ে ছোটোবড়ো দুটো কেই নিজের হাতে খাইয়ে দেই, ওদের খাইয়ে দিয়ে ইমার দিকে তাকাতেই দেখি প্লেট টা ধরে দাঁড়িয়ে আছে সে, তাই ওকে ও নিজের হাতে খাইয়ে দেই, খাওয়াদাওয়ার পর্ব শেষ হতেই ইমা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে, ! আমি না কখনওই ভাবিনি যে দুদিনেই তুই আমার এতো ক্লোজ বন্ধু হয়ে যাবি, ! আমি ও কি ভেবেছিলাম বুদ্দু?
না, ! হা হা হা, আচ্ছা আমি এখন বাসায় যাই, ! কেন? ! বাসায় একটা স্যাভলন ও স্যাভলন ওয়েনমেন্ট আছে ওটা এনে তোর ভাইয়ের আঙুলে লাগিয়ে দিলেই ব্যথা সেরে যাবে, ! ও তাই? তোর কোথাও যেতে হবেনা সোনা, আমি এখনি পাশের ফার্মেসি থেকে রহিম চাচু কে দিয়ে স্যাভলন ও ওয়েনমেন্ট আনিয়ে দিচ্ছি কেমন?
ওকে, তাহলে আমি গিয়ে গরম পানি টা করে আনি কেমন? ! না তুই কোথাও যাবি না চুপটি করে বয়, আর আমি মাধুরি আপু কে বলে দিচ্ছি সে পানি গরম করে দিবে, ! রহিম চাচু ঔষধ পএ নিয়ে আসতেই আমি ওনার রুমে চলে যাই আর সেখানে গিয়ে দেখি, সে তার কেটে যাওয়া আঙুলে বাচ্চাদের মতো ফুঁ দিচ্ছে, কিন্তু আমাকে দেখা মাঐ সে তার হাত টা পেছনে লুকিয়ে ফেলে, তখন আমি তার সামনে গিয়ে বলি, ! আপনার হাত টা দেখি?
কি দেখবে কিছু হয়নি, ! হয়েছে কি হয়নি সেটা আমি ভেবে দেখবো সো আপনার হাত টা দেখান, নয় তো খারাপ হয়ে যাবে, ! এই নাও দেখো, ! আমি ডান হাত নয় বাম হাত দেখতে চেয়েছি, ! নাও দেখো, ! উফফফফ, খুব ব্যথা করছে তাই না? ! আগে করছিল এখন আর করেনা
হয়েছে আর আলালের ঘরে দুলাল সাজতে হবে না কেমন? ! তারপর হাল্কা গরম পানি ও স্যাভলন দিয়ে কাটা আঙুল টা পরিষ্কার করে ওয়েনমেন্ট লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেই, আর তখনি হঠাৎ উনি আমাকে ওনার বুকে চেপে ধরে বলে, ! তুমি আমার ছেলের মা হবে? আমাকে বিয়ে করবে?
দেখো কোনো কষ্ট হবে না, আমি তোমাকে রানি করে রাখবো, শুধু তুমি আমাকে বলো, তুমি আমাকে বিয়ে করবে? আমার ইহানের মা হবে? দেখো তোমার কাছে আমি কখনওই অন্যায় আবদার করবো না, তুমি তোমার ছেলে নিয়ে থাকবে আমি আমার মতো থাকবো, কখনওই তোমাকে স্বামীর অধিকার দেখাতে আসবো না, তুমি বলোনা তুমি কি আমাকে বিয়ে করবো?
Bangla Romantic Golpo

ওনার বলা কথা গুলো শুনে থমকে যাই আমি, তবু ও নিজেকে সামলে নিয়ে ওনা কে ছাড়িয়ে বাসায় চলে যাই আমি, বাসায় গিয়ে সারাদিন শুয়ে শুয়ে ওনার বলা কথা গুলোই ভাবতে থাকি আমি, ভাবতে ভাবতে চোখ লেগে যায় আমার আর এক ঘুমে রাত নয়টা বেজে যায়.
ঘুম থেকে উঠে সামনে তাকাতেই দেখি, বড় টা ওর বারান্দায় দাঁড়িয়ে গালে হাত দিয়ে আমাকেই দেখছে, ! আর তখনি পাপা আমার গালে চুমু খেয়ে বলে, এতো ঘুমোলে হবে মা?
ডিনার করবে না? ! হ্যা করবো তো পাপা, কিন্তু তোমরা আমাকে আগে কেন ডেকে তুলনি হুমমম? ! কারন আমার মা কে ঘুমোলে পরীর মতো লাগে তাই, ! হা হা হা এমন কথা বলোনা তোমরা, আমার তো খুবি লজ্জা করে, ! ইশ্কের পাপা দেখো তোমার মেয়ে এমন ভাবে লজ্জা পাচ্ছে যেন আমরা তার মা বাবা নই শশুড়-শাশুড়ি হা হা হা, ! তুমি ও না মাম্মা ধ্যাতেরিকা ভালো লাগেনা কিছু
হা হা হা ভালো লাগতে হবে না মা দেখিত হা করো, তারপর মাম্মা আমাকে খাইয়ে দেয়, খাওয়া শেষে আড়চোখে সামনে তাকিয়ে দেখি বড়টা এখনো বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমার পানে চেয়ে আছে, ! পাপা পর্দা টা টেনে দাও তোঁ? ! কেন মা? ! বাহিরে খুবি অন্ধকার তাই আমার না খুবী ভয় করছে পাপা
কে বলেছে বাহিরে অন্ধকার? বাহিরে তো চাঁদনি রাত, ! ওকে পাপা দিতে হবে না, তোমরা যাও আমি এখন ঘুমোবো, ! আচ্ছা মা ঠিক আছে, ! পাপা যেতেই আমি কম্বল মুড়ো দিয়ে শুয়ে পরি, আর ওনার বলা কথা গুলো ভাবতে থাকি, আর ভাবি কত ছেলেই তো আমাকে প্রপোজ করলো, জি.এফ বানাতে চাইল কিন্তু উনি তো সে রকম কিছুই আমার কাছে চায়নি বরং আমাকে ওনার বিয়ে করা বৌ ও ইহানের মা বানাতে চেয়েছে
আর ওনার এই চাওয়াতে তো কোনো স্বার্থপরতা নেই? বরং উনি তো আমাকে পবিত্র বিয়ের বন্ধনে বাধতে চেয়েছেন, কিছুই বুঝতে পারছিনা আমি কি যে করি? এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরি আমি, ! পরেরদিন সকালে কলেজে যাওয়ার সময় হঠাৎ পেছন থেকে কেউ আমার হাত চেপে ধরে, পেছনে ফিরে দেখি পুলিশটা আমার হাত টা চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে, ! ইয়ে মানে আপনি?
তুমি কি দেখে চলতে পারোনা? এখনি তো রিকশার নিচে পরতে, ! আসলে আমি না বুঝতে পারিনি, ! ওকে তোমার বুঝতে হবে না, চলো আমি তোমাকে কলেজে দিয়ে আসি
Romantic Love Story Bangla

হ্যা ইশ্ক আয় না, আজ আমরা একসাথে কলেজে যাবো, এই দেখ না আনু ও আমার সাথে যাচ্ছে, ! আর তখনি পিচ্চু টা আমাকে বলে, ! মাম আতো না আমাদের তাতে? ! হ্যা বাবা চলো, তারপর আমি ইহান কে কোলে নিয়ে ওনার পাশে বসে আমার কলেজে যাই, কলেজে গিয়ে ইহান কে চুমু খেয়ে আমরা ক্লাসে চলে যাই
রাতে স্টাডি শেষে খেয়েদেয়ে বিছানায় শুয়ে ইহান ও ইমার কথা ভাবতে থাকি, আর তখনি পাপা এসে আমাকে বলেন ! মা আমি তোর সাথে কিছু কথা বলতে চাই, ! হ্যা পাপা বলো?
একটা ছেলে আছে অনেক ভালো মানে মা ও মানে, ! বুঝেছি বাবা তুমি আমার বিয়ে দিতে চাও তাই তো? এভাবে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছো কেন পাপা? ! না মানে মা তুমি সেটা বুঝলে কি করে? ! কলেজ থেকে আসার পর থেকে আমি তোমাদের অবর্জাভ করে যাচ্ছি যে তোমরা আমাকে কিছু বলতে চাও, কিন্তু সাহস করে কিছু বলে উঠতে পরছ না তাই তো? ! হ্যা মা, ! লিসেন পাপা আমি তোমাকে ভালো করে বলে দিচ্ছি, অনেষ্ট পুলিশ অফিসার ছাড়া আমি কোনো ছেলে কে বিয়ে করতে পারবোনা গট ইট?
আমার কথা শুনে মাম্মা পাপা হাসতে হাসতে তাদের রুমে চলে যায়, ! আশ্চর্য তারা এভাবে হাসল কেন? পাপা যার কথা বলেছে সেকি পুলিশ অফিসার? না মিস্টার ইমান খান? আচ্ছা আমি এগুলো কি ভাবছি হুমমমম? আমার মাথাটা বোধ হয় গেছে, ! তখনি হঠাৎ করে ফোন টা বেজে ওঠে, ফোন টা রিসিভ করে ফোনের ওপাশ থেকে ইমার কান্না শুনতে পাই, ! কি হলো কাঁদছিস কেন তুই?
তুই একটু আয় না সোনা ইহান টা খুবি অসুস্থ হয়ে পরেছে, ! ইমার কথা শোনা মাঐ আমি হন্তদন্ত হয়ে ইহানের কাছে ছুটে যাই, আর ইহান কে আমার কোলে তুলে নেই, কোলে নিতেই অনুভব করি জ্বরে গা পুরে যাচ্ছে ওর, ! এসব কি করে হলো হুমমমম? সারা সকাল তো ভালোই ছিল তাহলে?
ইশ্ক আমি কলেজ থেকে বাসায় এসে আবার ডক্টর দেখাতে ডক্টরের কাছে গেছিলাম সেখান থেকে এসে দেখি ইহান বাথটাবে বসে পানির সাথে খেলছে, তাই আমি ওর হাত পা মুছিয়ে খাবার খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দেই, সন্ধায়য় ও ঘুম থেকে উঠছেনা দেখে ওর কাছে আসি, এসেই দেখি ও ঠান্ডায় ঠকঠকিয়ে কাঁপছে আর খুবি জ্বর উঠেছে ওর, ভাইয়া ওর জন্যে ডক্টর ডাকতে গেছে
এতো কিছু হয়ে যাওয়ার পর আমাকে বলছিস? ওর জন্যে নাকি দু দুটো ন্যানি ওনারা কি ঘুমিয়ে ছিল? আজ কেই ইমান কে বলবো ওদের কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিতে আর আমি পিচ্চুর খেয়াল রাখবো, ! ঠিক তখনি ডক্টর এসে পরে, ডক্টর চেকআপ করে বলেন, ! আপনার বাবুর অনেক ঠান্ডা লেগেছে মিসেস খান, তাই ওকে অলওয়েজ গরম জামা কাপড় পরিয়ে রাখবেন, খাবার পানি থেকে শুরু করে যাই আপনি আপনার ছেলেকে খাওয়াবেন না কেন গরম গরম খাওয়াবেন?
আর আমি জ্বরের ও ঠান্ডার ঔষধ লিখে দিয়েছি ও গুলো কন্টিনিউ করলে আলহামদুলিল্লাহ্ আপনার ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে, ! আসলে বেশি ঠান্ডা লাগার করনে আপনার ছেলের জ্বর টা অনেক বেড়ে গেছে আর তাই ওর এতো কষ্ট হচ্ছে, তবে চিন্তার কোনো কারন নেই পেটে ঔষধ পরলেই আপনার ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে
তারপর ডক্টর চলে যায়, ডক্টর যেতেই আমি ইহানের ক্লথ চেঞ্জ করে ওকে শয়েটার পরিয়ে দেই, আর ইমা ওর জন্যে ফিডার বানিয়ে আনে, পিচ্চু কে ফিডার খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দেই আমি, তখন খেয়াল করে ইমা ঘুমে পরে যাচ্ছে তাই আমি ওকে ওর রুমে গিয়ে শুয়ে পরতে বলি, ও যেতেই আমি পিচ্চুর হাতে পায়ে তেল মালিশ করে দেই, আর ওকে কল পট্টি দিয়ে দেই
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

এভাবে কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর আমি খেয়াল করে খেলায় করে দেখি পিচ্চু টা আমাকে দেখে হাসছে, ! ওরে পিচ্চু তুমি হাসো? ! মাম তুমি আততো? আমি তুমার কুলে ! হ্যা বাবা, ! পাপা কুই? ! এই তো বাবা আমি এখানে, ! তখন পিচ্চু টা মিষ্টি হাসি দিয়ে আমার গায়ে পা তুলে দিয়ে বলে
মাম আমার কত্ব অয়, ! তখন বড়টা পিচ্চুর মাথায় হাত রেখে বলে, ! তোমার মাম আছেনা বাবা সব ঠিক হয়ে যাবে, ! তখন পিচ্চু টা আমাকে বলে, ! মাম তুমি আমাকে আদুর কলো আমি তালে ভালু হয়ে দাবো, ! তখন আমি পিচ্চু টাকে চুমুতে চুুমুতে ভরিয়ে দেই, ! আর বড় টা তখন ওর মাথায় জলপট্টি দিয়ে দেয়, ! পিচ্চু কে আদর করতে করতে ঘুমিয়ে পরি আমি
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাপ বেটা দুটোই আমাকে কোলবালিশ বানিয়ে রেখেছে, হায় আল্লাহ এ আমার কেমন দিন আসলো? যে শেষমেশ আমাকে কোলবালিশ হতে হলো, কিন্তু এই বড় টা আমার পেছনে এসে ঘুমোলো কখন? ! যখন তোমরা ঘুমিয়ে পরেছ তখন
তাই বলে আপনি আমাকে কোলবালিশ বানিয়ে রাখবেন? আমি আজকেই আমার পাপার কাছে আপনার নামে নালিশ করবো, ! তুমি কি নালিশ করে বালিশ পেতে চাও ভাবি? ! মানে?
তুই আমাকে ভাবি বলছিস কেন? ! তখনি পাপা এসে বলে, ! মা তুই তো বলেছিস অনেষ্ট পুলিশ অফিসার ছাড়া বিয়ে করবিনা? তাই আমি আমার ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে অনেষ্ট অফিসার ইমান খান কে আমার জামাই হিসেবে র্নিবাচিত করেছি, কিরে মা তোর পছন্দ হয়েছে হুমমমম
পাপার কথা শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পরি, পাপা আমার জন্যে আর কাও কে পেলো না? শেষমেশ এই শয়তান টাই আমার কপালে জুটলো? কি পোড়া কপাল নিয়ে জন্মেছি আমি?
আমি আমার এই দুঃখ্য রাখবো কোই? ! এসব ভাবতে ভাবতে সামনে তাকাতেই দেখি, ! শয়তান টা আমার চেহারা দেখে মুখ চেপে হাসছে, চলবে…
দ্বিতীয় পার্ট পড়ুনঃ পুলিশের সাথে প্রেম-২