ভালোবাসার গল্প – পুলিশের সাথে প্রেম-৬: খাট ভাঙার ভয়ে আমাকে নিয়ে অন্য কোথাও ছিছিছি, ! কি হলো ভাবি কি এতো ভাবছ? ! কোই কিছুনা তো, ! ও আচ্ছা, ! আর তখনি হঠাৎ আমাদের চোখাচোখি হয়ে যায়, আর উনি আমাকে চোখ মেরে দিয়ে নির্ঝর ভাইয়ার সাথে হাসতে হাসতে বাহিরে চলে যায়
আর আমি আমাদের রুমে গিয়ে মাম্মা পাপার কথা মনে করে কান্না করে দেই, আর তখনি কেউ আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে, পেছনে ফিরে তাকাতেই দেখি আমার ছেলে ইহান আমাকে জড়িয়ে আছে এবং সে আমাকে বলছে, ! মাম তুমি কান্নু করো কেন? ! কোই বাবা কান্না করিনি তো?
মিথ্যুক আমি পাপা কে বুলে দিবো, যে তুমি কান্নু করো, ! না বাবা কাও কে কিছু বলতে হবে না চলো আমি তোমাকে খাইয়ে দেই, পিচ্ছু টার খাওয়া শেষ হতেই আমার উনি এসে হাজির হন, আর তখন আমার ছেলেটা দৌড়ে গিয়ে তার কোলে উঠে, তার কানে ফিসফিসিয়ে কি যেন বলে?
ছেলে যেতেই তার বাবা আমাকে তার বুকের সাথে চেপে ধরে বলে, ! কি হলো? তুমি কাঁদছ কেন? ! কোই কিছুনা তো? ছেলে গিয়ে কি নাকি বলল? আর সেটা শুনে আপনি আমাকে জেড়া করছেন? ! তোমার ছেলের কিছু বলা লাগে? আমি বুঝি কিছু বুঝিনা তাই না? ! না মানে, ! কি? মা, পাপার জন্যে মন খারাপ করছে?
কি হলো চুপ করে আছো কেন? ! হুমমমম, ! তাহলে শোনো আজকে আমি এমন ব্যবস্থা করবো যে কখনওই তোমার মা পাপার জন্যে মন খারাপ করবেনা কেমন? ! কি করবেন আপনি?
সারপ্রাইজ শোনা, এখন তো বলা যাবে না, ! ওকে ফাইন, আর তখন আমার চাচী শাশুড়ি এসে বলেন, ! বৌ মা একটু পরেই সবাই তোমাকে বৌ ভাতের জন্যে সাজাতে আসবে, তাই তুমি এখনি গোসল করে ফ্রেশ হয়ে আসো কেমন? ! আচ্ছা ঠিক আছে
চাচী শাশুড়ি যেতেই আমি গিয়ে গোসল করে আসি, গোসল করে এসে টাওয়াল দিয়ে আমি আমার চুল মুছতে থাকি, আর তখনি আমার উনি আমার থেকে টাওয়াল টা কেরে নিয়ে আমার চুল মুছে হেয়ার ড্রাইয়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে দেয়, ! আর নিজে ও গোসলে চলে যায়, উনি গোসল করে বেরতেই আমি ওনা কে দেখে লজ্জায় পরে যাই
ভালোবাসার গল্প

আর উনি সেটা বুঝতে পেরে আমার কাছে এক পা এক পা করে এগিয়ে আসে, আর আমি ও লজ্জা পেয়ে এক পা এক পা করে পেছাতে থাকি, এবং তখনি আমি ওনাকে নিয়ে বিছানায় পরে যাই, আর উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ! তুমি এতো লজ্জা পাও কেন হুমমম? আমি তোমার স্বামী পরপুরুষ তো নই তাই না?
সো আমি টাওয়াল কেন? অন্যকিছু ও পরে বের হতে পারি তাই না? ! না মানে তা বলে শুধু টাওয়াল? ! টাওয়ালে তো বের হয়েছি বার্থডে ড্রেস পরে তো বের হইনি তাই না? তাহলে কোথায় যেতে হুমমম? হা হা হা, ! আপনি না খুবি পচা, ! আমি জানি আমি পচা, হা হা হা, শোনো না আমার একটা কথা শুনবে ? ! কি কথা শুনবো?
আমাকে একটু আদর করবে প্লিজ? ! ওনার কথা শুনে আমি ওনা কে জড়িয়ে ধরে ওনার মাথায় হাত বুলিয়ে দেই, আর তার কিছু ক্ষণ পরেই ইমার ডাক পরে যায়, ইমার ডাক শুনে উনি ওনার শেরওয়ানি নিয়ে বাথরুমে চলে যায়, ! আর আমি গিয়ে দরজা খুলে দেই, তখনি ইমা আমাকে দেখে হা হা করে হসে দেয়, এবং রুমের ভেতরে এসে মুখ টা বাংলার পাচেঁর মতো করে ফেলে, ! কি হলো সোনা? ! তোমার স্বামী কোই?
বাথরুমে রেডি হচ্ছে, ! ও তাই? তাহলে ভাইয়া যাক দেন আমরা তোমাকে রেডি করে দিবো কেমন? ! আমার হয়ে গেছে তোমরা তোমাদের ভাবি কে রেডি করে দাও, ! তা তো দিবোই সেটা আবার বলা লাগে নাকি হুম? তবে ভাবি কেকী তোমার সামনে রেডি করে দিবো হুমমম?
না না না আমি তো যাচ্ছি, তারপর তোমরা রেডি করো কেমন? ! তুমি না গেলে করবো কি করে ভাইয়া? একটা কাজ করো তুমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকো আমরা তোমার সামনেই তোমার বৌ কে রেডি করে দেই কেমন? ! ইসসসসসসসস, কি বলে? তোরা রেডি কর আমি যাই
বলে আমার উনি স্পাইক করতে করতে এক দৌড়ে রুমের বাহিরে চলে যায়, ! উনি যেতেই সবাই হা হা হা করে হেসে দেয়, ! তখন ইমা আমাকে বলে, ! দেখেশুনে পাগল একটা পাগল জুটিয়েছিস বটে, হা হা হা, ! এই পাগল টাই তোর ভাই, হা হা হা, ! হুমমমম এবং তোর জামাই, হা হা হা
তারপর ওরা আমাকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিচে নিয়ে যায়, নিচে যেতেই উনি আমাকে কোলে তুলে বৌ ভাতের আসরে বসিয়ে দেয়, তখনি মাম্মা পাপা এসে আমার কপালে চুমু খায় ও আমাদের হাতে গিফটের বক্স তুলে দেয়, তখনি আমার উনি পাপার হাত ধরে বলেন, ! পাপা আমার একটা আবদার আছে তোমার কাছে?

কি আবদার আছে সেটা বলো? আমি সেটা পুরোণ করার চেষ্টা করবো বাবা, ! চেষ্টা করলে চলবে না পূরোণ করতেই হবে পাপা, ! আচ্ছা বাবা ঠিক আছে আমার সাধ্যের মধ্যে হলে অবশ্যই চেষ্টা করবো বাবা, ! তাই তাহলে শোনো………. এখন থেকে তুমি মা তোমার আমাদের সাথে থাকবে কেমন?
বাবা, ! কোনো বাবা টাবা না আমি চাই মা ও তুমি আমাদের সাথে থাকবে কেমন? ! দেখো পাপা আমি কি শুধুই তোমাদের জামাই? তোমাদের ছেলে না? তোমরা কি শুধু তোমার মেয়েরি বাবা – মা আমার বাবা – মা নও? ! সে কথা কি আমরা কখনো বলেছি বাবা?
না বলোনি, তাই তো বলছি আমরা এখন থেকে এক সাথে এক বাড়িতে থাকবো, বাবা ছেলে একসাথে কাজে যাবো আর মা মেয়েরা একসাথে থাকবে কেমন? ! তারপর মাম্মা ওনার কপালে চুমু খায়, আর পাপা ওনাকে জড়িয়ে ধরে আর উনি আমাকে চোখ মেরে মিষ্টি করে হাসি দেয়
আর আমি লজ্জা পেয়ে মুখ ঘুরিয়ে ইহান কে আদর করে চুমু খাই, ! তার কিছুক্ষণ পর সবাই খেতে বসে, খাওয়াদাওয়া শেষে আমি আমার রুমে এসে খুশির ঠেলায় সাম্ভা ড্যান্স শুরু করে দেই, ! উফফফফ, আমার উনি কতো ভালো যে আমার খুশির জন্যে পাপা মাম্মা কে আমাদের কাছে নিয়ে এসেছে, কি মজা কি মজা?
এসব ভাবতে ভাবতে সামনে তাকিয়ে দেখি, ! আমার উনি দরজার সাথে দাড়িয়ে হেলান দিয়ে আমার নাচানাচি দেখে মুখ চেপে হাসছে, ! আর আমি তখনি তাকে দেখে লজ্জায় পরে যাই, আর উনি আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার গালে চুমু খেয়ে বলে, ! তুমি খুশি হয়েছ সোনা?
হুমমমমমমমম, ! আর তখনি আমার পিচ্চু টা এসে বলে, ! পাপা আমি তুমাদের কাছে ঘুমোবো, ! আচ্ছা বাবা ঠিক আছে, ! তারপর আমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি, ! আমি আসতেই ছেলে আমাকে বলে, ! মাম আমি দুদু থাবো, ! পিচ্চুর কথা শুনে ওর বাপের দিকে তাকাতেই ওর বাপ হেসে দিয়ে আমাকে বলে
খাওয়াও খাওয়াও তোমার ছেলে কে দুদু খাওয়াও খিদে পেয়েছে তো ওর হা হা হা, ! ফাজিল যেন কোথাকার খাওয়াচ্ছি সো আপনার এতো দাঁত কেলাইতে হবেনা কেমন? ! দেখো আল্লাহ তো দাঁত দিছেই ক্যালানোর জন্যে তাই না? হা হা হা, ! তারপর আমি আমার ছেলের জন্যে ফিডার বানিয়ে এনে ওকে ফিডার খাইয়ে, ঘুম পরাতে আমার কাছে নিয়ে শুই, আর পিচ্চি কে আদর করতে করতে আমি নিজে ও ওর সাথে ঘুমিয়ে পরে?

ভোররাতে সজাগ হতেই দেখি আমার উনি আমার গালে, গলায় ও ঠোঁটে পাগলের মতো চুমু খাচ্ছে, আর আমাকে খুবি শক্ত করে নিজের বুকের সাথে চেপে রাখছে, ! হঠাৎ কিছুক্ষণ পর আমার কানের কাছে এসে ফিসফিসে বলে, ! ভাগ্যিস তুমি ঘুমিয়ে ছিলে, নয় তো কখনওই তোমাকে আমি আমার এতো কাছে পেতাম না
ঘুমিয়ে তোমাকে একদম পরীর মতে লাগে, সত্যি বলতে এখন আমি আমাদের ফিউচারের কথা ভাবছি, ফিউচারে তো আমাদের সন্তান হবে তাই না? আর আমার ইচ্ছা আমার প্রথম মেয়ে সন্তান হবে আর সে হবে তার মায়ের মতো সুইটটটট সুইটটটটট, দেন আমার কপালে চুমু খেয়ে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পরতে চলে যায়
উনি নামাজ শেষ করে উঠে দাঁড়াতেই, আমি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে ওয়াসরুমে চলে যাই, সেখান থেকে এসে নামাজ আদায় করে ওনার মুখোমুখি গিয়ে দাঁড়াই, আর তখন উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ! তোমার রাতে ঘুমোতে কোনো অসুবিধে হয় নি তো? ! না, ! আপনার হয় নি তো
না তা কেন হবে? তুমি ছিলে বাবু ছিলে খুবি ভালো ঘুম হয়েছে আমার, ! তারপর আমি কিচেনে গিয়ে ওনার জন্য কফি ইহানের দুধ বানিয়ে আনি, ! তারপর ওনাকে এসে কফি দিতেই উনি আমার হাত ধরে বলেন, ! তুমি জানো?
আজকে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে? ! না জানি না তবে আপনি হয় তো ভুল দেখেছেন, আই মিন আপনার চোখে হয় তো ছানি পরেছে, ! তখন উনি আমাকে চেপে ধরে বলেন, ! ছানি টানি কিছু পরেনি সোনা সত্যি তোমাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে, ! বলে আমার ঠোঁটে চুমু খেতে যায়
তখনি আমার পিচ্চু টা ওনার মুখ চেপে বলে তুমি মামের ঠুটে উম্মাহ দিবা না পাপা, ! পিচ্চুর কথা শুনেই আমি লজ্জায় পরে যাই, তখন ওর পাপা বলে কেন বাবা?
আমাল বুন্ধু বলছে মামের ঠুটে পাপা উম্মাহহহহ খেলে বাবু হয়, ! বাবু হলে মাম আমার থেকে বাবু কে বেশি আদুর কব্বে আর তখন কান্নু কান্নু পাবে, ! ছেলের কথা শুনে আমি ওকে আমার কোলে তুলে নেই
আর ওর বাবা ওর কথা শুনে আমাকে চোখ মেরে দাঁত কেলাতে কেলাতে বাহিরে চলে যায়, ! ফাজিল ব্যাটা একটু ও কমনসেন্স নেই বাচ্চার সামনে শুরু হয়ে যায়. চলবে?…
পঞ্চম পার্ট পড়ুনঃ পুলিশের সাথে প্রেম-৫
1 thought on “ভালোবাসার গল্প – পুলিশের সাথে প্রেম-৬”